খাদি কাপড় ও খাদি শিল্পের ঐতিহ্য

খাদি কাপড় ও খাদি শিল্পের ঐতিহ্য

Product Reviews


খাদি কিভাবে শুরু হয়? 


গান্ধীজীর প্রতিষ্ঠিত তৎকালীন কুমিল্লার অভয় আশ্রম খাদি শিল্প প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সেই সময় বিদেশি কাপড় বর্জনের ডাকে যখন ব্যাপক হারে চরকায় সুতা কাটা শুরু হয় তখন অভয় আশ্রম সুলভে আশ্রমে তৈরি চরকা বাজারে বিক্রির পাশাপাশি নিজেরাও তৈরি করতে থাকে খাদি বস্ত্র। বিক্রিত চরকা দিয়ে অনেক মানুষ বস্ত্র উৎপাদন শুরু করে। আর বিভিন্ন গ্রামে তৈরি খাদি বস্ত্রও এ সময় অভয় আশ্রমের মাধ্যমে বাজারজাত করতে শুরু করে।


খাদি কাপড়ের তৎকালীন মূল্য কেমন ছিল?  


বিভিন্ন উৎস থেকে জানা যায়, ১৯২৬-২৭ সালে একটি ৮ হাত লম্বা ধূতি বিক্রি হতো মাত্র পাঁচসিকে দামে। সে সময় কুমিল্লা অভয় আশ্রম প্রায় ৯ লাখ টাকা মূল্যের খাদি কাপড় বিক্রি করে আর এতেই বোঝা যায় কতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠে খাদি কাপড়। আর এও জানা যায় এত বিক্রির আর উৎপাদনের পরেও চাহিদা সবসময়ই বেশি ছিল উৎপাদনের চেয়ে। 

স্বাধীনতা পরবর্তী সময় ও বর্তমানে খাদি  শিল্পের অবস্থা

স্বাধীনতা পরবর্তী সময় খাদি শিল্পের ছিল স্বর্ণযুগ। এর পরপরই আসে সংকটকাল। যুদ্ধের সময় এই অঞ্চলের বস্ত্র কল গুলো বন্ধ থাকায় বস্ত্র চাহিদা মেটাতে আমদানি নির্ভর দেশে হস্তচালিত তাঁতের কাপড়ের ওপর প্রচুর চাপ পড়ে। দেশের বা মানুষের চাহিদার তুলনায় খাদির উৎপাদন যথেষ্ট না হলেও তবে চান্দিনা বাজারকে কেন্দ্র করে আশপাশের গ্রামগুলোতে তাঁতীরা চাদর, পর্দার কাপড়, পরার কাপড় তৈরি করতে শুরু করে। আর যা পরবর্তীতে খাদির অবস্থান ও ভিতকে আরও শক্তি শালি করে তোলে।