বড় আফসোস আমাদের আজকের সমাজের জন্য!আমাদের জন্য যা কিছু হালাল তা আমরা কঠিন করে ফেলেছি, আর যা কিছু হারাম তাকে সহজ করে ফেলেছি। যার ফলে হারাম নিয়ে সতর্ক করা হলে আমরা অনেকে প্রশ্ন শুরু করি, ইসলামে হালাল কি তাহলে?
অথচ বাস্তবতা হলো আল্লাহ সুবহানু ওয়া তা’আলা আমাদের জন্য অসংখ্য জিনিস হালাল করেছেন, আর কতিপয় জিনিস হারাম করেছেন। হালাল জিনিস গুনে শেষ করা যাবে না, অথচ হারাম জিনিস সীমিত।
শরীয়তের সব হালালে আমাদের জন্য কল্যাণ আর সব হারামে কোনো না কোনোভাবে ঠিকই আমাদের জন্য অকল্যাণ রয়েছে। কিন্তু তা আমরা বুঝতে চাই না, বা বুঝেও নফসের প্ররোচনায় না বুঝার ভান করি।
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“আল্লাহ তা’আলা তাঁর কিতাবে যা হালাল করেছেন, তা হালাল এবং যা হারাম করেছেন, তা হারাম। এবং তিনি যে সম্পর্কে নিশ্চুপ আছেন তা তোমাদের জন্য ক্ষমা, সুতরাং তোমরা আল্লাহর দেওয়া ক্ষমাকে গ্রহণ করো। আল্লাহ কিন্তু ভুলে যাননা। তারপর তিনি এ আয়াত পাঠ করেন, “তোমার রব ভুলে যান না…”(সূরা মারঈয়ামঃ ৬৪)”
(মুস্তাদরাকে হাকিম)
হারাম হলো আল্লাহর দেয়া নির্ধারিত সীমারেখা। আল্লাহর নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘনকারীদেরকে ও হারাম অবলম্বনকারীদেরকে আল্লাহ তা’আলা ভীতিপ্রদর্শন করেছেন। তিনি বলেছেন,
“যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আদেশের অবাধ্যতা করে, এবং তাঁর সীমারেখাসমূহ লঙ্ঘন করে, আল্লাহ তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন। সেখানে সে চিরস্থায়ী হবে। আর তার জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি।” (সূরা নিসা: ১৪)
এজন্যই হারাম থেকে বিরত থাকা ফরজ।
শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ এরকম সত্তরটি হারাম ও তাদের কুফল সম্পর্কে ছোট ছোট অধ্যায়ে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন যথারীতি কুরআন সুন্নাহ অনুসারে। আল্লাহ শাইখকে ও এর বইয়ের সাথে জড়িত প্রত্যেককে কবুল করুক, আমিন।