Categories: ফিকশন, সমসাময়িক উপন্যাস
মারিয়ার দুই মেয়ে বদের হাড্ডি। তাঁদের সৎ বাবাকে নানানভাবে জ্বালিয়ে মারে। যখন দিন বা রাতে সঙ্গম করার জন্য দরজা বন্ধ করে দেবে তখন সাথে সাথে নক দিয়ে জিজ্ঞেস করবে দরজা লাগিয়ে কী করো ড্যাডি? মেয়েদের এমন ইতরামিতে মারিয়া নিজেও বিব্রত। অন্য দিকে মারিয়ার বন্ধু রাফির সাথে খুব ভাব দুই মেয়ের। প্রেমিকদের সাথে ঝগড়া হলে রাফিকে নিয়ে যাবে মীমাংসা বা শায়েস্তা করতে। এমনকি পরীক্ষায় ফেল করলেও গার্ডিয়ান হিসেবে রাফিকে নিয়ে যাবে। পরিচয় করিয়ে দেবে ড্যাডি বলে। সেখানে একটা হাস্যকর ও বিব্রতকর অবস্থা তৈরি হয়। মারিয়ার বড় মেয়ের বয়স ১৯। ছোট মেয়ের বয়স ১৮। ১৮ ও ১৯ বছর বয়স্ক মেয়েদের ড্যাডি কিনা রাফির মতো ২৫ বছরের এক তরুণ! দ্বিতীয় স্বামীর সাথে মারিয়ার বনিবনা হচ্ছে না। তাঁর দুই মেয়ের ভরণপোষণ করতে নারাজ। এই নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকে। অথচ বিয়ের আগে মারিয়ার মোহনীয় রুপে পাগল হয়ে ওয়াদা করেছিল মেয়েদের সব দায়িত্ব আমার। মারিয়া চায় রাফিকে বিয়ে করতে। রাফি তরুণ পেইন্টার। মারিয়ার প্রতি ভালোবাসার কমতি নেই। এই বিয়েতে সামাজিক একটা বাধা আছে। রাফি তাঁর বাবা-মাকে কীভাবে বোঝাবে যাঁকে বিয়ে করতে চায় সে নারী তাঁর মায়ের বয়সী! সে নারীর বড় দুটো মেয়ে আছে! আর কোনো দিন তাঁর সন্তান হবে না! মারিয়ার দ্বিতীয় সংসার ভেঙ্গে যায়। কাজি অফিস থেকে বিয়ে করে রাফি মারিয়াকে নিয়ে বাসায় ফিরলে তাঁর বাবার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে! ছেলে কি না বাবার প্রেমিকাকে বিয়ে করে এনেছে! রাফি জানত না মারিয়া তাঁর বাবার প্রেমিকা। কখনো কি জানতে পারবে? শ্বশুরের পা ছুঁয়ে সালাম করতে গিয়ে মারিয়া তাঁর প্রেমিক বা শ্বশুরকে দেখে হতভম্ব হয়ে যায়! রাফির বাবা অজ্ঞান হয়ে যায়! কেউ কিছু বুঝতে পারে না, কেবল মারিয়া ছাড়া। এখন কী হবে!