গত কয়েক দশক ধরে যে কয়েকজন কূটনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার কল্যাণে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আজ কাতারের সুনাম ও সাফল্য, ড. হামাদ আলকুওয়ারি তাদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় অন্যতম একজন। তিনি ফ্রান্সে কাতারের পক্ষ থেকে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ছিলেন। এর পাশপাশি জাতিসংঘে কাতারের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
সর্বশেষ ২০১৭ সালে তিনি জাতিসংঘের ইউনেস্কোর মহাপরিচালক হিসেবে প্রার্থী হয়েছিলেন। চারটি রাউন্ডে জয়ী হয়ে পঞ্চম রাউন্ডে তিনি পেয়েছিলেন ২৮ ভোট, অন্যদিকে ফরাসি প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩০। ফলে ২ ভোটের ব্যবধানে সেই যাত্রায় তিনি থেমে যান।
বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার এবং সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন ড. হামাদ আলকুওয়ারি। এর মধ্যে রয়েছে কাতারের হামাদ বিন খলিফা কর্ডন (২০১৭), ফ্রান্সের সাহিত্য ও সংস্কৃতি পদক (২০১৪), নেদারল্যান্ডের রাণীর পক্ষ থেকে পদক, পোল্যান্ড পদক ইত্যাদি।
পেশাদার কূটনৈতিক জীবনে অর্জিত নানারকম বৈচিত্রময় অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ ড. হামাদ আলকুওয়ারি একজন চিন্তক এবং লেখক। তাঁর রচিত একাধিক বই আরব ও অনারব বিশ্বে পাঠকসমাজের সমাদৃত হয়েছে। আলোচ্য বইটি রাজনীতি, সংস্কৃতি ও সমাজ নিয়ে ড. হামাদের বৈশ্বিক চিন্তা ও চেতনার এক বিশ্বস্ত পত্রদূত, যা তাঁর গভীর প্রজ্ঞা, অধ্যয়ন এবং আবেগ ও অভিজ্ঞতাকে আমাদের সামনে তুলে ধরে।
২০১৫ সালের জুলাইয়ে কাতার ফাউন্ডেশন প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত বইটি ইতোমধ্যে ইংরেজি, ফরাসি, স্প্যানিশ, হিন্দি, ফার্সি, তুর্কি ও জার্মান ভাষায় অনুদিত হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলা ভাষায় অনুদিত বইটি পড়ে বাংলাভাষী পাঠকরা নানাবিধ বিষয়ে জানার সুযোগ পাবেন।
বইটি অনুবাদে আমাকে সহযোগিতা করেছে অনুজ লেখক নাজমুস সাকিব। নবপ্রকাশ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা বইটি প্রকাশের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে। সবার প্রতি তাই অশেষ কৃতজ্ঞতা।