বইয়ের নাম : চিন্তা এক্সপ্রেস
লেখক : মাহফুজ সিদ্দিকী হিমালয়
প্রকাশনী : আদর্শ পাবলিকেশন
আইএসবিএন :978-984-95983-1-2
প্রচ্ছদ মূল্য : ৫০০
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২৩২
প্রকাশকাল : ২০২১
ব্ই সম্পর্কে
ধরা যাক বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলে আছে এক মৃত হুতোম প্যাঁচা; লাশটির দায় অথবা দায়িত্ব কোন দেশের?
গুগলে খুঁজলে হিউম্যানোলজিস্ট এবং বায়োপিক অ্যানালিস্ট দুটো শব্দই পাওয়া যাবে; কিন্তু যদি বলি হিউমারাইটার, তন্ন তন্ন তালাশেও গুগল পাবে না তার হদিস। এটাই বুঝতে চাইছে না পিনছু কারিগর নামের ব্যক্তি, পেশার স্থলে লিখবে ‘বায়োপিক অ্যানালিস্ট’।
পরিতাপের বিষয় হলো অদ্যাবধি ৭০-৮০ জন ব্যক্তিকে বায়োপিক অ্যানালিস্ট সম্বন্ধে আভাস দিয়েছি; বিদেশে-পড়ুয়ারা বলে এটা ডেটা সায়েন্স আর মেশিন লার্নিংয়ের উচ্চস্তরের জ্ঞান, কেবলমাত্র পর্যবেক্ষণ ও কল্পনাকে ভিত্তি ধরে যদি কেউ নিজেকে বায়োপিক অ্যানালিস্ট পরিচয় দেয়, সেটা একজন ওষুধের দোকানির নিউরোলজিস্ট হওয়ার মতো। পিনছু কারিগর ভণ্ড-প্রতারক, বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ অশিক্ষিত আর প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে অনগ্রসর হওয়ায় সে ফাঁপরবাজি করতে পারছে, ইউরোপ-আমেরিকা হলে এত দিনে জেল খাটত। দেশিদের জিজ্ঞাসা বায়োপিক অ্যানালিস্ট মানে কী আসলে; সঞ্জয় দত্ত-মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিক নির্মিত হয়েছে বলিউডে; এটা কি সিনেমাসংশ্লিষ্ট পেশা! এসবেও দমে না পিনছু কারিগর, উপরন্তু আমার জোটে কর্কশ ভর্ৎসনা- ‘আমি প্রতারক নাকি সিনেমা পরিচালক তাতে আপনার কী, কারও অনুপস্থিতিতে তার পেশা নিয়ে কথা বলাটা যে অরুচিকর ভেবেছেন কখনো, নাকি ননসেন্স থাকাটাই জীবনের অ্যাম্বিশন?’
ভারাক্রান্ত মনে তাই জনৈক সঞ্চিতার প্রতি পত্র লিখছি, যেগুলো কোনো দিনই পৌঁছুবে না প্রাপকের গন্তব্যে। তবু লিখছি, কেন লিখছি ভাবছি না।
পিনছু কারিগর যদি হিউমারাইটার শব্দটা ব্যবহার করত, কী ভাষ্য হতো মিডিওক্রিটিপুষ্ট মানুষদের? উত্তর দিন হে ‘সুপরিচিত সঞ্চিতা’!