রমাদানের এক বা দু’দিন আগে সাওম রাখা
এ ব্যাপারে হাম্বলী মাযহাবের মতে, রমাদানের আগের এক দিন অথবা দুই দিন আগে অর্থাৎ সন্দেহের দিনগুলোতে সাওম রাখা হারাম নয়, তবে মাকরুহ। এটি প্রথম মত। দ্বিতীয় মতটি হলো, আসমা বিনতু আবি বাকর ও আয়িশা রদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেছেন, সন্দেহের দিনে সাওম রাখা যাবে। এ ব্যাপারে উলামায়ে কেরাম ওজর পেশ করেছেন যে, তাদের নিশ্চয়ই সাওম থেকে বিরত থাকা-সম্পর্কিত হাদিসগুলো জানা ছিল না। তারা নিশ্চয়ই এই হাদিসগুলো শোনেননি কিংবা তাদের কাছে পৌঁছেনি। তৃতীয় মত হলো, সন্দেহের দিনে সাওম রাখা হারাম। মাকরুহ নয়, হারাম। এ মতের স্বপক্ষে প্রথম দলিল হলো একটি হাদিস,
‘তোমরা রমাদানের এক দিন বা দুই দিন পূর্বে সাওম রেখো না।’[সহিহ বুখারী, হাদিস নং : ১৯১৪]
স্পষ্ট দলিল। আরেকটি দলিল হলো আম্মার রদিয়াল্লাহু আনহুর বক্তব্য, ‘যে ব্যক্তি সন্দেহযুক্ত দিনে সিয়াম পালন করল, সে আবুল কাসিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাফরমানি করল।’ [সুনানুত তিরমিযী, হাদিস নং : ৬৮৬]
এ কারণে উলামায়ে কেরাম বলেন, আমরা একে হারাম ধরে নিয়েছি। কারণ, সর্বপ্রথম রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই এটি নিষেধ করেছেন। আর তারপর এ নিয়ে একজন সাহাবির শক্তিশালী ও কঠোর বক্তব্যও রয়েছে। মাকরুহ বিষয়ে তারা সাধারণত এ ধরনের কঠোর শব্দ চয়ন করতেন না। অতি গুরুত্বপূর্ণ ও হারাম বোঝাতেই আম্মার রদিয়াল্লাহু আনহু এমন দৃঢ়ভাবে বলেছেন। নয়তো তিনি এভাবে বলতেন না।