বই সম্পর্কে : আল-কুদস। ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি। মুসলমানদের প্রাণের শহর। প্রথম কেবলার শহর। ইহুদি আর খ্রিষ্টানদের ভালোবাসাও প্রোথিত আছে এই শহরে। তিন ধর্মের তীর্থ শহর এই আল-কুদস। জেরুজালেম।
নবি দাউদ, নবি সুলায়মান আলায়হিমাস সালাম—পিতা-পুত্র দুই নবি শাসন করে গেছেন এ শহর। এ শহরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে নবি ইসা আলায়হিস সালামের কত স্মৃতি! আরও অনেক নবির পুণ্যস্মৃতি!
নবি মুহাম্মদ, আমাদের প্রিয় নবি, বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের মেরাজ এই ভূমি থেকেই শুরু হয়েছিল। মেরাজ রজনীর বাহন বোরাকের পদধূলি মিশে আছে এই শহরের বালুকণায়।
ফিলিস্তিনে মুসলিমদের উত্থান-পতনের ইতিহাস গল্পে গল্পে সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করা হয়েছে বইটিতে। সেই সঙ্গে ফিলিস্তিনি কয়েকজন বীরের আত্মদানের গল্পও সংযুক্ত হয়েছে।
১৯৪৭ সালে এক বিতর্কিত রায়ের মাধ্যমে জবরদখল করা হয় ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি। আর এর মধ্য দিয়েই মুসলমানদের ভালোবাসার শহর পবিত্র আল-কুদসে ইহুদিদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। ফিলিস্তিনি মুসলমানরা হয় চূড়ান্ত বঞ্চনার শিকার। সেই বঞ্চনা আর না পাওয়ার হাহাকারে আজও ভারী হয়ে আছে ফিলিস্তিনের আকাশ। এর ভেতরে পৃথিবীর রূপ-বৈচিত্র্যে কত পরিবর্তন এসেছে, জর্ডান নদীতে কলকল রব তুলে গড়িয়েছে কত জল, কিন্তু হতভাগ্য আল-কুদস আর ফিলিস্তিনের মানুষের ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনি। জুলুম, নির্যাতন আর পরাধীনতার গ্লানিতে আজও তারা ক্লান্ত-শ্রান্ত।
তাই বলে যে তারা থেমে আছে, এমন নয়। তাদের সংগ্রাম আর প্রতিরোধ চলমান। বঞ্চনার আগুনে পুড়তে পুড়তে তাদের কেউ কেউ হঠাৎ জ্বলে ওঠে। আর পৃথিবী অবাক হয়ে দেখে প্রতিবাদের অভিনব ভাষা এবং স্বরূপের আগুন-মূর্তি।
পাঠক এক চুমুকে পুরো ফিলিস্তিনকে সংক্ষেপে পাঠ করে নিতে পারবেন, আশা করি।