কী সুন্দর তারা কথা বলে, অভিমান করে, হিংসা করে, সৃষ্টি করে নতুন নতুন, তারা শিল্পিত পদক্ষেপে হেঁটে বেড়ায়, যুদ্ধ করে, প্রিয়জনের ভালোবাসায় কাঁদে…কী অবাক এক সৃষ্টিকর্ম!
একটা মানুষ শিশু—সে খলবলিয়ে হাসে; তার নিষ্পাপ চোখের ভাষার মধ্যে যে পবিত্র পাঠশালা, আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরির সমস্ত প্যাপিরাসের কাহিনিপাঠেও মিলবে না তার খোঁজ। আহা! কি ব্যাকুল ভালোবাসায় সে চিৎকার করে কাঁদে। পৃথিবীর বিস্ময়ে এখনো নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেনি ছোট ছোট মায়াবী চোখ দুটো। তার কান্না কেমন নিষ্পাপ, লৌকিকতাহীন।
আকাশ কি নিদারুণ নীলাভ! বৃক্ষ কি সবুজ! মাটিতে কেমন উদ্বেল ঘ্রাণ! রাত হয় এই জন্ম নেয়া পৃথিবীতে। কি বিস্ময় নিয়ে সে ডাকে—আয় আয়, থোকা থোকা এই জোনাক-জ্যোৎস্নায়!
জলবিভূতি নিয়ে নদী বয়; সাগরের কী ক্ষুধিত উচ্ছ্বাস!
ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখে কেঁদে উঠি, হেসে ফেলি অদ্ভুতুড়ে বালখিল্য খাব-দর্শনে। সকালে পরিচিতমুখ দেখে উজ্জ্বল চোখভরে বলি—বন্ধু, কী খবর বল, কতোদিন দেখা হয়নি!
একটা মেয়ে বালিকা হয়, আশ্চর্য তার ঐশ্বর্য। বিপুলা বিভা নিয়ে সে তার চারপাশ আন্দোলিত করে তোলে। তার পায়ের মুদ্রা, তার কিন্নর হাসিরোল, তার গর্বিত চাহনি—পৃথিবীর তাবৎ ময়নাতদন্ত তার সৌন্দর্যের রহস্যের কাছে শিশুতোষ।
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর রচিত জীবনমুখী এক আশ্চর্য বই!