সব বইয়ের মত মহাযাত্রা দ্বিতীয় খন্ডেরও সম্পূর্ণ কাহিনী, কিছু দৃশ্য ও সংলাপ আগে থেকেই ভাবা ছিল। তারপরেও কিছু দৃশ্যে গিয়ে আমি ভেবে রাখা জিনিস লিখতে পারিনি আবার না ভাবা জিনিসও লিখতে হয়েছে। কারণ টা হচ্ছে প্রাণো। সে উপন্যাসের চরিত্র থেকে কখন যেন আমার কল্পনায় বাস্তব চরিত্র হয়ে উঠল। দিনশেষে প্ৰাণো যেটা চেয়েছে আমি সেটাই লিখতে বাধ্য হয়েছি।
মহাযাত্রা আমার এবং আমার পুরোনো পাঠকদের জন্য বিশেষ একটি উপন্যাস। পাঠকেরা অধীর আগ্রহে দ্বিতীয় খন্ডের জন্য অপেক্ষা করে আছে। তা নাহলে হয়তো এবছর বইটি আনতামই না। কারণ এবছর দুই বার কোভিডে আক্রান্ত হয়েছি। লেখার মত অবস্থা ছিল না দীর্ঘদিন। উপন্যাসটি লেখার সময় আমার সাথে আমার মাও রাত জেগেছে। আমি অসুস্থ তাই মা একটু পর পর কখনো চা, কখনো গরম পানি দিত। লেখার নেশায় ডুবে আমি ক্ষুধার অনুভূতি ভুলে যেতাম। মা খাবার এনে দিলে বুঝতাম ও আচ্ছা ক্ষুধা লেগেছে তো ! যাই হোক, মহাযাত্রা দ্বিতীয় খন্ড লেখার জার্নি খুব বেশি কঠিন ছিল। এই কঠিন জার্নিতে আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছে মা, রাদিন, লামইয়া, হানী, নুসরাত এবং অর্পি। লেখার জন্য