তাহক্বীক: শাইখ মুহাম্মাদ আওয়াম রহ.
অনুবাদক: মুফতি ইলিয়াস খান ও মুফতি মাহদী খান
সম্পাদক: মুফতি আল আমিন
বর্তমান যুগ ফিতনার যুগ। সামাজিক ফিতনা, ধর্মীয় ফিতনা, প্রযুক্তিগত ফিতনা, অপসংস্কৃতির ফিতনাসহ আরো বিভিন্ন ফিতনা আমাদেরকে ছেয়ে নিয়েছে। নববি যুগ থেকে যত দূরত্ব বাড়ছে ফিতনার প্রকটও তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “এ উম্মাহর প্রথম অংশে কল্যাণ ও স্বস্তি রাখা হয়েছে আর অচিরেই শেষ অংশে আসবে বালা-মুসিবত এবং এমন সব অপ্রীতিকর বিষয় যা তোমরা অপছন্দ করবে। ফিতনাসমূহ পর্যায়ক্রমে আসতে থাকবে। একটি ফিতনা আসবে তখন মুমিন ব্যক্তি বলবে, এটা আমার জন্য ধ্বংসাত্মক। যখন এটা দূর হয়ে অন্য ফিতনা আসবে তখন সে বলবে, এ ফিতনায় আমার ধ্বংস অনিবার্য। অতঃপর এটাও কেটে যাবে।” অর্থাৎ লাগাতার ফিতনা সংঘটিত হতে থাকবে। একটা অন্যটার তুলনায় মারাত্মক ও ভয়ংকর হবে। ফিতনার কারণে সর্বত্র জুলুম, অত্যাচার, বিশৃঙ্খলা, অনৈক্য, সংঘাত, হত্যা ইত্যাদি ঘটতে থাকবে। গোটা বিশ্ব নরকে পরিণত হবে। এজন্য মানুষ অতিষ্ট হয়ে মৃত্যু কামনা করতে থাকবে। ঈমানের উপর দৃঢ় ও মজবুত থাকা নিহায়াত কঠিন হয়ে পড়বে। সুতরাং ফিতনার সময় নিজের ঈমান আমল রক্ষা করার জন্য এবং ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকার জন্য কুরআন-সুন্নাহর সঠিক জ্ঞান অর্জন করা আবশ্যক।
কিয়ামতের পূর্বে কি কি ফিতনা ঘটবে এবং সেসব ফিতনা থেকে নিজেকে রক্ষা করার উপায় কি, এ সম্পর্কে হাদিস ও আছারের অধিকাংশই এ কিতাবটির ফিতান অধ্যায়ে এসে গেছে। সুতরাং ফিতনা বিষয়ে জ্ঞানপিপাসু পাঠকগণের জন্য বইটি শ্রেষ্ঠ উপহার। এখন আমরা এটা তুলে দিচ্ছি আপনার হাতে।