আধো অন্ধকারে রনি দেখতে পেল তার থেকে তিন-চার হাত দূরে মোটা একটা জামগাছের গোড়ায় অদ্ভুত একটা প্রাণী বসে আছে। প্রাণীটা দেখতে অনেকটা মানুষের মতোই। তবে আকারে অনেকটা ছোট, ফুট তিনেক লম্বা হবে। মানুষের মতোই হাত-পা আছে প্রাণীটার। হাত-পাগুলোও ছোট ছোট। চেহারায় কেমন যেন বিজ্ঞ বিজ্ঞ ভাব। গলা থেকে পা পর্যন্ত বিশেষ একটা পোশাক পরা থাকায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তবে চোখ দেখে মনে হচ্ছে প্রাণীটা তাকে দেখেও ভয় পাচ্ছে। কেমন বড় বড় চোখে তাকিয়ে আছে। প্রাণীটার ডান হাতে মোবাইল ফোনের মতো ছোট্ট একটা ইলেকট্রনিক যন্ত্র। প্রাণীটা খুব সতর্কতার সাথে যন্ত্রটিকে তার দিকে তাক করে রেখেছে। আর বাঁ হাতটা শূন্যে ঝুলছে। হাতের অবস্থা দেখে বোঝা যাচ্ছে মারাত্মক আঘাত পেয়েছে প্রাণীটা। মুখেও রক্তের ছোপ। কিছুক্ষণ আগে যে মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে মুখের জমাট বাঁধা রক্ত যেন তারই প্রমাণ।
রনি কিছু বলার আগেই প্রাণীটা বলল, আমার নাম নিকি। দুর্ঘটনাবশত আমি হিমিচুন গ্রহ থেকে পৃথিবীতে এসে পড়েছি। গিগোরা আমাকে হত্যা করতে চেষ্টা করছে। একমাত্র তুমিই পারবে আমাকে বাঁচাতে। তুমি কি আমাকে সাহায্য করবে? রনি কিছু বলতে পারল না। শুধু উপরে-নিচে সম্মতিসূচক মাথা দোলাল। শেষ পর্যন্ত কি রনি আর তার বন্ধুরা পেরেছিল ভয়ঙ্কর প্রাণী গিগোদের হাত থেকে নিকিকে রক্ষা করতে?