চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এর পর তথ্যপ্রযুক্তি, জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন তথা জ্ঞান বিজ্ঞানের নানা শাখা এখন পরস্পর পরস্পরকে সহযোগিতা করে তৈরি করছে নতুন নতুন পণ্য, প্রযুক্তি ও সেবা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির স্মরণকালের সর্বোচ্চ বিকাশ আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি।
২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারিকালেও আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশ ও প্রয়োগের ব্যাপ্তি দেখতে পাচ্ছি। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো করোনা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কার। সব সময় আমরা জেনেছি, টিকা আবিষ্কারের জন্য ৫-৮ বছর সময়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এবারই বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা সেটি মাত্র ৯ মাসে সম্পন্ন করতে পেরেছেন।
আমাদের মতো দেশে অনেকেরই একটি ভুল ধারণা হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সেরা আবিষ্কার ও উদ্ভাবন গুলো পশ্চিম বা পূর্বের উন্নত দেশগুলোতে হয়। কারণ তাদের রয়েছে অনেক বেশি উন্নত পরীক্ষাগার ও গবেষণার সুযোগ। সেই সঙ্গে আমাদের পাঠ্যপুস্তকেও রয়েছে সেসব দেশের বিজ্ঞানীদের জীবনী। কিন্তু বিজ্ঞান গবেষণায় আমাদেরও যে রয়েছে ঐতিহ্য এবং স্বীকৃতি তা আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে সেভাবে দৃশ্যমান নয়।
কাজে বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক তৈরি করার এখনই শ্রেষ্ঠ সময়। শুধু দরকার তাদের সামনে আমাদের বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীর জীবন ও কর্ম তুলে ধরা।
“ওরা ১১ বাংলার বিজ্ঞানী” বইতে মোট ১১ জন বিজ্ঞানীর জীবন ও কর্ম তুলে ধরা হয়েছে। আচার্য স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু, আচার্য স্যার প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, কাজি আজিজুল হক, গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য, মেঘনাদ সাহা, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, অমর গোপাল বসু, জামাল নজরুল ইসলাম, এম এ ওয়াজেদ মিয়া, মাকসুদুল আলম, জাহিদ হাসান এর মত বিজ্ঞানীদের কাজ ও অবদানকেই এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।