আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা নারী-পুরুষ সৃষ্টি করে তাদের প্রত্যেকের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন পৃথক পৃথক জীবন ব্যবস্থা। আর নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমনে পৃথিবীর মানুষ পেয়েছে আলোর সন্ধান, সুন্দর ও সুশৃঙ্খল জীবনব্যবস্থা। বিশেষ করে নারী জাতি মুক্তি পেয়েছে চরম লাঞ্ছিত ও অপমানের জীবন থেকে।ইসলাম নারীকে দিয়েছে সঠিক অধিকার ও মর্যাদা। ইসলাম পূর্ব যুগে নারীদের কোন মর্যাদা ছিল না। পিতামাতা কন্যা সন্তান জন্মে অপমান বোধ করতো। তাই কন্যা সন্তান জন্মের সাথে সাথে জীবন্ত কবর দিতো। অর্থাৎ নারী মানেই অপদার্থ ও মূল্যহীন এক ভোগের সামগ্রী। সেই অবহেলিত লাঞ্ছিত নারী জাতিকে সমাজের উচ্চাসনে বসিয়েছে ইসলাম। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেছেন, ‘ জীবন্ত প্রোথিত কন্যা সন্তানকে ক্বিয়ামতের দিন জিজ্ঞেস করা হবে কোন অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছিল।’ [সুরা তাকবীর, আয়াত নং ৭-৮] নারীদের শরীয়াতের জ্ঞানার্জন করা ফরজ। যাতে নিজের এবং স্বামী- সংসারের গুরুত্ব বুঝে পরকালমূখী এক কল্যাণময় জীবন উপহার দিয়ে সুখময় জান্নাতের অধিকারী হতে পারে। কুরআনুল কারিমের আয়াত এবং সহিহ হাদিসের প্রমাণিক দলিলের ভিত্তিতে সরল- সহজ ,প্রাঞ্জল ভাষায় সংসার জীবনের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে গ্রন্থটিতে। যেমন- ১৪ জন মাহরাম পুরুষ-মহিলাদের বিবরণ, মুক্তির সহজ পথ, ভালো নারীর পরিচিতি, স্বামীর প্রতি হক্ব, নারীদের সৎ গুণাবলী,আদব-কায়দা,সালাত আদায়ে পোষাক-পরিচ্ছদ, জান্নাতি-জাহান্নামী নারীর বর্ণনা, বিয়ে-শাদির সুন্নাতরীতি, মোহরানা- বাসর ঘর ও কনে সাজানো, ভ্রু প্লাক, নেল পালিশ লাগানোর বিবরণ, সন্তান গ্রহণ এবং পর্দাসহ নানা বিষয়। রাসূলুল্লাহ( সাঃ) বলেন, ‘সম্পূর্ণ দুনিয়া হচ্ছে সম্পদ। আর দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে সতী-সাধবী নারী।’ [বাংলা মিশকাত, হাদিস নং ২৯৪৯] আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন, ‘অতএব যারা সতী-সাধবী স্ত্রী লোক তারা তাদের স্বামীদের ব্যাপারে আল্লাহর হুকুম পালনকারীণী এবং স্বামীদের অনুপস্থিতিতে গোপনীয় বিষয়গুলির হিফাযতকারীণী হয়ে থাকে। কেননা, আল্লাহ নিজেই তার হিফাযত করেন।’ [সুরা নিসা, আয়াত নং ৩৪] সুরা তাহরীমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ভালো মহিলা হওয়ার জন্য ছয়টি গুণের কথা উল্লেখ করেছেন। ১.মুসলিম হওয়া। ২. মু’মিন হওয়া। ৩. আনুগত্যশীল হওয়া।( আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং স্বামীর আনুগত্যকে বুঝানো হয়েছে) ৪.তাওবাকারী হওয়া। ৫.ইবাদাতকারী হওয়া। ৬. সিয়াম পালনকারী হওয়া। [সুরা তাহরীম, আয়াত নং ৫] নারীরা রাস্তার মধ্যস্থল দিয়ে এদিক সেদিক তাকিয়ে পথ চলবে না। দৃষ্টি নত করে রাস্তার এক পাশ দিয়ে পথ চলবে। হাদিসে এসেছে, ‘ নারীরা রাস্তার মধ্য দিয়ে চলাচল করবে না।’ [সিলসিলা সহিহা, হাদিস নং ৮৫৬] এভাবে ধারাবাহিকভাবে আলোচনার মধ্য দিয়ে বইটির সমাপ্তি হয়েছে। প্রতিটি ব্যক্তির সংসার জীবনে নারীদের জন্য গ্রন্থটি খুবই প্রয়োজন