পরীক্ষা ঈমানের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই পরীক্ষায় মুমিন উত্তীর্ণ হয় সবর ও শোকরের দ্বারা। যত রব্বানি আলিম আবেদগণ ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে আছেন, তাদের সবার প্রধান আমল ছিল সবর ও শোকর। সবর ও শোকর হচ্ছ লিফটের মতো, যে লিফটে দাঁড়িয়ে বান্দা দাসত্বের চূড়ায় পৌঁছে যায়।
কিন্তু বর্তমানে এই দুটো আমল যেন একদম অপরিচিত হয়ে গেছে! মানুষ এখন সবর বলতে কেবল বোঝে বিপদের সময় ধৈর্য ধরা, এবং শোকর বলতে বোঝে প্রিয় কিছু পেলে ‘আলহামদুলিল্লাহ্’ উচ্চারণ করা!
.
ফলশ্রুতিতে সবরের অভাবে ব্যক্তি হারাচ্ছে ঈমানী শক্তি, শোকরের অভাবে হারাচ্ছে প্রাপ্ত নিয়ামতরাজি। অথচ সবর ও শোকর মুমিনের প্রধান ঢাল হবার কথা ছিল! এদুটোই তার মোটিভেশনের মূল উৎস হবার কথা ছিল। এখন মুসলিম ঘরের সন্তানরা দ্বারস্থ হচ্ছে কাফের মুশরিকদের মোটিভেশনাল লেকচারের দিকে; তাদের রচিত গ্রন্থ থেকে শিখছে, কীভাবে জীবনের সকল নেতিবাচক মুহূর্তে নিজেকে সজীব রাখা যায়। সবর ও শোকরের সবক নিচ্ছে তাদের থেকে!
.
অনেক দেড়ি হলেও সবর ও শোকরের ওপর একটি বিখ্যাত গ্রন্থ অনুবাদ হয়ে আসার পথে। ইবনুল-কায়্যিম রহ. এর রচিত উদ্দাতুছ-ছবিরীন এর সংক্ষিপ্তসার। ইবনুল-কায়্যিম রহ.- আত্মশুদ্ধি জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর ইলমের রশ্মি তাঁর গ্রন্থ থেকে এত তীব্রভাবে প্রতিফলিত হয় যে, পাঠক মন বিমোহিত করে দেয়। সবর শোকরের বাস্তবতা কী, কীভাবে সবর করতে হয়, কীভাবে শোকর আদায় করতে হয়, কীভাবে এই দুটোর আমলের দ্বারা বান্দা তার দ্বীনদারির চূড়ায় পৌঁছে যায়, সেই দিশা মিলবে এই গ্রন্থে।