অনুবাদ : আরশাদ ইলয়াস, হামেদ বিন ফরিদ, শাহরিয়ার মাহমুদ, মিসবাহ উদ্দিন
সম্পাদনা : নেসারুদ্দীন রুম্মান, খন্দকার মুহাম্মদ হামিদুল্লাহ
নিরীক্ষণ : মাহদি হাসান, ইমরান রাইহান
শরয়ি সম্পাদনা : শাইখ আবদুল্লাহ আল মামুন
ইতিহাস অতীতের নীরব সাক্ষী। ইতিহাস চির-মুখর। যুগ-যুগান্তর ধরে মানব-সভ্যতার চলমান জীবনধারাই ইতিহাস। সে চক্রতীর্থের পথে পথে ছড়িয়ে আছে কত শত ভাঙা-গড়ার অর্ধলুপ্ত অবশেষ—কত রক্তরঞ্জিত দৃশ্যপটের পরিবর্তন; কত নিশীথকালের দুঃস্বপ্ন-কাহিনি; কত উত্থান-পতন, কত চেষ্টার তরঙ্গ, কত সামাজিক বিবর্তন।
.
আজ যা বর্তমান, কালই তা অতীত। ইতিহাস ত্রি-কাল-সূত্রে গ্রথিত। ইতিহাস তো অতীতেরই সত্য-স্বরূপ উদ্ঘাটন—এক অনন্ত মানব-জীবনপ্রবাহের অনির্বাণ দীপ-শিখা। ইতিহাস অতীতের অভিজ্ঞতা, বর্তমানের সাধনা, ভবিষ্যতের ইঙ্গিত।
.
ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে আমরা মানবসমাজের শুরু থেকে এর যাবতীয় কর্মকাণ্ড, চিন্তা-চেতনা ও জীবনযাত্রার অগ্রগতি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারি। এজন্যই ইতিহাসকে বলা হয় জাতির দর্পণ।
.
এ ইতিহাসের সাথে সম্পর্কসূত্রের ধারাবাহিকতায় আমাদের এবারের প্রকাশনা—সেলজুক সাম্রাজ্যের ইতিহাস। ইসলামি ইতিহাসে সেলজুকদের রয়েছে এক স্মরণীয় অধ্যায়। প্রায় ২০০ বছর ধরে তারা অর্ধ পৃথিবী শাসন করেছে অত্যন্ত প্রতাপ, বিক্রম ও ভাঙনের চড়াই-উৎরাই নিয়ে। মুসলিম-ইতিহাস অধ্যয়নে সেলজুক সাম্রাজ্যের ইতিহাসের রয়েছে অন্যতম ভূমিকা। রক্তাক্ত ক্রুসেড যুদ্ধের ইতিহাসের অগ্রসেনানি ছিলেন এ সেলজুকরা।
সমৃদ্ধ সেলজুক সাম্রাজ্যের সূচনা, স্থিরতা, ভাঙা-গড়া এবং নানা চড়াই-উৎরাই নিয়ে রচিত আখ্যান সেলজুক সাম্রাজ্যের ইতিহাস।
.
সমকালীন মুসলিম বিশ্বের সুপরিচিত ইতিহাসবিদ ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবির বিশ্বস্ত কলমে উঠে এসেছে এই দীর্ঘ ইতিহাসের ফিরিস্তি। তার এই গ্রন্থনার বাংলা অনূদিত রূপ সেলজুক সাম্রাজ্যের ইতিহাস; যা পাঠককে পরিচিত করে দেবে মুসলিম-ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ এক অধ্যায়ের সাথে।