বই সম্পর্কে
চারপাশের শত্রুরা শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে জাল বিছিয়ে রাখলেও, শয়তান কিন্তু আমাদের ঈমান হরণের উদ্দেশ্যে জাল বিছিয়ে রাখে। এদিকে আমরা, সেই জালে আটকে পড়ে খুইয়ে ফেলি ঈমানের মতো উৎকৃষ্ট বস্তু। অতঃপর, গুনাহের চাদর গায়ে দিয়ে, ধাবিত হই শয়তানের বাগানে।
বনি আদমের প্রকাশ্য শত্রু — ‘শয়তান’ । এই শত্রুর দ্বারাই আমরা সবচে’ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। গুনাহের যতগুলো দরজা, তা শয়তানের দ্বারাই উন্মোচিত হয়। আর তাছাড়া, শয়তান যে আমাদের প্রকাশ্য শত্রু, তা আল্লাহ তাআলা নিজেই বলে দিয়েছেন । আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمْ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوهُ عَدُوًّا ۚ
“শয়তান তোমাদের শত্রু; অতএব তাকে শত্রু রূপেই গ্রহণ কর”। সূরা ফাতির- ৬শয়তান আমাদের পথভ্রষ্ট করার নিমিত্তে উৎপেতে বসে থাকে। সবসময় তার চক্রান্তের জাল বিছিয়ে রাখে। আমরাও তার ধোঁকায় পড়ে, ডুবে যাই পাপের সমুদ্রে। জড়িয়ে পড়ি, অশ্লীল ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডে।
পাপকাজ থেকে বিরত থাকতে, গুনাহ থেকে ফিরে আসতে, নেককাজে সর্বদা নিয়োজিত থাকতে—শয়তানের কবল থেকে নিরাপদ থাকা জরুরী। এদিকে শয়তানের কবল থেকে তখনই নিরাপদ থাকা সম্ভব—যখন শয়তানের বিরুদ্ধে পরিপূর্ণভাবে দক্ষ হাতে লড়াই চালিয়ে যাবেন। আর উক্ত লড়াইয়ে তখনই টিকে থাকতে পারবেন, যখন শয়তান সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান লাভ হবে। যেমন: তার উদ্দেশ্য, তার কর্মকাণ্ড, তার চক্রান্ত, তার পরিকল্পনা, তার পাতা ফাঁদ, তার ধোঁকা— এ-সব কিছু সম্বন্ধের পূর্ণ জ্ঞান লাভ করা । এগুলো জানা ব্যতীত, শয়তানের বিরুদ্ধে লড়াই সম্ভব নয়।আলহামদুলিল্লাহ, ‘শয়তানের বিরুদ্ধে লড়াই’ বইটি -তে ধারাবাহিকভাবে শয়তানের ইতিবৃত্ত, শয়তানের কুটকৌশল, শয়তানের ধোঁকা, শয়তানের কর্মপদ্ধতি, শয়তানের চক্রান্ত, শয়তানের পাতা ফাঁদ ও সর্বশেষ শয়তান থেকে বেঁচে থাকার বেশ কিছু দিক নির্দেশনা সুবিন্যাস্তভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। আশা করি পাঠক, তা অধ্যায়ণ করে শয়তানের ইতিবৃত্ত, তার পাতা ফাঁদ, তার কুটকৌশল, তার চক্রান্ত সম্বন্ধে জানতে পারবেন এবং তা থেকে ফায়দা হাসিল করতে পারবেন, ইন শা আল্লাহ।