সৈয়দ মুজতবা আলী যুগপৎ রচনাকার এবং প্রবন্ধকার। সমস্যা হল, প্রায়শই তাঁর প্রবন্ধকে রচনা থেকে আলাদা করা যায় না।
একদিকে প্রবন্ধ তার ব্যক্তিত্বের যােগে রচনা বা এসে হয়ে যেতে চায়। আরেকদিকে রচনা তার পাণ্ডিত্যের যােগে প্রবন্ধ বা ট্রিটিজ হয়ে উঠতে চায়।
ঠিক কী প্রয়ােজনে উদ্ভূত হয়েছে রচনা? প্রথমত, অবদ্ধ থাকার জন্যে, যেহেতু প্রবন্ধ সংজ্ঞামতেই বদ্ধ। দ্বিতীয়ত, লঘুপক্ষ হবার জন্য, যেহেতু প্রবন্ধ গুরুভার। তৃতীয়ত, অপূর্ণ থাকার স্বায়ত্তশাসন অর্জনের জন্য; যেহেতু যত ক্ষীণই হােক প্রবন্ধকে তার সম্পূর্ণ রূপটি পেতেই হবে।
পূর্বাপরসঙ্গতিসম্পন্ন যুক্তি, তর্ক, বিশ্লেষণ, সংশ্লেষণ এবং সিদ্ধান্ত দ্বারা বন্ধ রচনারই প্রতিশ্রুতি দেয় প্রবন্ধ—যা প্রকৃতই পরস্পাম্বিতরূপে সুসংবদ্ধ। উদাহরণ: আবু সায়ীদ আইয়ুব, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত প্রমুখের প্রবন্ধনিচয়। প্রতিপক্ষে, রচনা ধারণা জাগায় বিষয় থেকে বিযয়ান্তরে বিচরণ করার। এমনকি ফিরে আসার সুপথ খুঁজে নেবার প্রতিভা থাকলে, অবান্তরবিষয়গামী হয়ে রােমাঞ্চকর পুলকও উপহার দিতে পারে সে পাঠককে—যেমন প্রমথ চৌধুরীর বীরবলীয়, রবীন্দ্রনাথের পাঞ্চভৌতিক এবং মুজতবা আলীর পঞ্চতান্ত্রিক রচনাসমূহ। কোনাে অধিশায়িত বিষয়ে রচিত প্রসারিতপ্ৰবন্ধকে ট্রিটিজ না বলে ডিসার্টেশন বলে—যেটা তত্ত্বালােচনামূলক গবেষণাঋদ্ধ ও সংগ্রহসমৃদ্ধ। আমরাও সেটাকে প্রবন্ধ নাবলে সন্দর্ভ বলতে পারি।।
-আবদুশ শাকুর।
Title | : | শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ |
Author | : | সৈয়দ মুজতবা আলী |
Publisher | : | বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র |
ISBN | : | 9841802473 |
Edition | : | 2020 |
Number of Pages | : | 216 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |