বইয়ের নাম: টেন মিথস এবাউট ইসরাইল
মূল: ইলান প্যাপে
অনুবাদ: রাকিবুল হাসান
পৃষ্ঠাসংখ্যা: ২৪৮
প্রচ্ছদ মূল্য : ২২০ টাকা
বই সম্পর্কে : প্রতিটি সংঘাতের গোড়ায় রয়েছে ইতিহাস। অতীতের সত্য ও নিরপেক্ষ বোঝাপড়া শান্তির সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। পক্ষান্তরে বিকৃত ও পক্ষপাতদুষ্ট ইতিহাস ধ্বংসের বীজ বোনে। ইজরাইল-ফিলিস্তিন সংকট থেকে একথা সুস্পষ্ট যে ইতিহাসের বিকৃতি, এমনকি নিকট অতীতের ইতিহাস হলেও, তা অপূরণীয় দুর্যোগ বয়ে আনে। উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে ইতিহাসের বিকৃতচর্চা নিপীড়নের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং উপনিবেশবাদি দখলদার রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এতে বিস্মিত হওয়ার কিছুই নেই যে- মিথ্যাচার, বিকৃতচার বর্তমানেও চলমান এবং তা সংঘাত স্থায়ীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতের আশাও ফিকে হয়ে যাচ্ছে।
ইজরাইল-ফিলিস্তিন সংকটের অতীত ও বর্তমান নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অনেক বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই সংঘাতের প্রকৃত কারণ বুঝে উঠা দায়।
কিভাবে বিতর্কিত ভূমি ইজরাইল রাষ্ট্রের সম্পত্তি হয়ে গেল? জায়োনিস্ট ইতিহাসের আয়না এমনকিছু মিথের উপর দাঁড়িয়ে আছে যেগুলো অতি সূক্ষ্মভাবে এই ভূমির উপর ফিলিস্তিনিদের নৈতিক অধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। উদ্ভট বিষয় হচ্ছে পশ্চিমের অনেক ‘মূলধারার’ মিডিয়া ও রাজনৈতিক এলিট এসব রূপকথাকেই অমোঘ সত্য বলে মেনে নিয়েছে, এ কারণেই বিগত ষাট বছর কিংবা তারও অধিক সময় ধরে ইজরাইলিদের সকল অপকর্মের প্রতি অন্ধ সমর্থন দিয়ে আসছে। এতেই শেষ নয়, রূপকথার প্রতি এই অন্ধ-ভালোবাসা পশ্চিমা সরকারগুলোকে সংঘাত নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপগ্রহণ থেকে বিরত রাখছে।
সেসব রূপকথার আগল ভাঙতে এই বই। জনসম্মুখে যেগুলোকে ধ্রুব সত্য হিশেবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। আমি মনে করি ঐতিহাসিক তথ্যাবলির বস্তুনিষ্ঠ পাঠের মাধ্যমে সত্যের অপালাপ এই ও মিথ্যাচারের প্রাসাদ গুড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। বইয়ের মূল উপজীব্য হচ্ছে রংচঙে মিথ্যাচার এবং ঐতিহাসিক বাস্তবতার যুগপৎ প্রকাশ।