অনেকে বড় বই দেখলে ঘাবড়ে যাই। ভাবি, এত বড় বই পড়ব কখন আর শেষ করবই বা কখন! কিন্তু আপনি কি জানেন, দৈনিক ১০ পৃষ্ঠা করে একটি বই পড়লে মাসে ৩৬০০ পৃষ্ঠা হয়? দৈনিক ১০ মিনিট ব্যায়াম করলেও সমানুপাতিক হিসাব। একই উদাহরণ অন্যান্য সব কাজের বেলাতেই খাটে। এটাকেই বলে ”কম্পাউন্ড এফেক্ট।’
কম্পাউন্ড এফেক্টকে সহজ বাংলায় বললে, বিন্দু থেকে সিন্ধু। আমরা অনেকেই রাতারাতি নিজেকে পরিবর্তন করে ফেলতে চাই। ঘাম না ঝড়িয়ে, অল্প খেঁটে কীভাবে স্বপ্ন পূরণ করা যায়—সেই চেষ্টায় থাকি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ‘রাতারাতি’ শব্দটাই ধোঁকার। আপনি এক সপ্তাহ হাঁটলেই আপনার ওজন ২০ কেজি কমে যাবে না। একটা ক্রিম মাখলেই আপনার চেহারা থেকে ২০ বছর কমিয়ে ফেলতে পারবেন না। ২ ঘণ্টা ইন্টারনেটে বসে থাকলেই বছরে ২০,০০,০০০ ডলার উপার্জন করতে পারবেন না।
নিউইয়র্ক টাইমস বেস্টসেলার বই ড্যারেন হার্ডি-এর ‘দ্য কম্পাউন্ড এফেক্ট’-বইতে সাফল্যের বাস্তব সূত্রগুলো তুলে ধরা হয়েছে। পৃথিবীতে শুধু একটা জিনিসই আছে, যা আমরা চাইলেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি—তা হলো আমাদের পছন্দ, নির্বাচন। এই নির্বাচনই জীবনের প্রত্যেক ফলাফলের জন্য দায়ী। আপনি যদি ইচ্ছা করেন তাহলে অফিস থেকে ফেরার পর জিমে যেতে পারেন বা সোফাতে শুয়ে মোবাইলও চালাতে পারেন।
কিন্তু আমরা এরকম ছোট ছোট নির্বাচনগুলোতে মন দিই না। অথচ এই ছোট ছোট পরিবর্তনই দিনশেষে বিশাল পরিবর্তন এনে দেয়। ‘দ্য কম্পাউন্ড এফেক্ট’ বইটি আপনাকে এটাই শেখাবে, কীভাবে ছোট ছোট চয়েসগুলোকে গুরুত্ব দেবেন এবং এগুলোর দ্বারা জীবনের বড় বড় লক্ষ্য বাস্তবায়ন করবেন।