মুক্তিযুদ্ধে নিয়ে যে একেবারে লেখালেখি হয়নি তা নয়। তবে একটি জাতির মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও স্বাধীনতা অর্জনের পরিপ্রেক্ষিতে ঘিরে যে কর্মকাণ্ড হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। আমাদের এখানে মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে গবেষণার জন্য আলাদা কোন গবেষণাগার হয়নি। হয়নি জাদুঘরও। বরং অনবরত মুক্তিযুদ্ধ ও যোদ্ধাদের অবমূল্যায়ণ করা হয়েছে। অনবরত পুনর্বাসন করা হয়েছে রাজাকার ও মুক্তিযুদ্ধ – বিরোধীদের। বাংলাদেশের আনাচে – কানাচে, শহরে – গ্রামে যদি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের, স্মৃতির উপাদানগুলো সংগৃহীত হতো তাহলে এখনই যে তথ্য বিকৃত করা শুরু হয়েছে, তা প্রতিরোধ করা যেতো। এখন তো আশংকা হয়, ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকা ও যুদ্ধের ভুল ব্যাখ্যা প্রদান করা হবে। কারণ উপাদান বিনস্ট হলে কিভাবে রচনা করা যাবে ইতিহাস? বাংলাদেশে এখন ১৯৭১ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিত অধিকাংশ পত্রিকার কোন কপি পাওয়া যাবে না। কারণ সেগুলি ইচ্ছাকৃতভাবে নষ্ট করা হয়েছে। অনেকে আক্ষেপ করে বলেন, এত বছরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচিত হলো না। নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এত দ্রুত এতো বড় ঘটনার ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়। কারণ, তা শুধু বিতর্কই সৃষ্টি করতে পারে।
Title | : | একাত্তরের বিজয় গাথা |
Author | : | মুনতাসীর মামুন |
Publisher | : | আগামী প্রকাশনী |
ISBN | : | 9789844010192 |
Edition | : | 2010 |
Number of Pages | : | 208 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |