‘মৌর্য’ একটি ইতিহাসনির্ভর প্রেমের উপন্যাস। প্রথম মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত গ্রিক সম্রাট সেলুকাসের কন্যাকে বিয়ে করেছিলেন। এ বিয়ের সঙ্গে ইতিহাস এবং প্রেম দুই-ই যুক্ত রয়েছে। ঝিলাম নদীপাড়ে গ্রিকদের প্রমােদপ্রাসাদে চন্দ্রগুপ্ত সেলুকাসকন্যা কর্নেলিয়াকে (তিনি পরে নাম দেন হেলেন) দেখে প্রেমে পড়ে যান। একসময় তাদের মধ্যে পত্রযােগাযােগ তৈরি হয় এবং প্রেম গভীরতর রূপ নিলে চন্দ্রগুপ্ত তাঁর মহামন্ত্রী চাণক্যকে বিষয়টি জানিয়ে। কর্নেলিয়াকে বিয়ে করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। অতি চতুর। মন্ত্রী দেখলেন তার গ্রিক তাড়ানাের এই মােক্ষম সুযােগ। তিনি বলেন যে, সেলুকাস কোনাে ভারতীয়ের সঙ্গে কন্যার বিয়ে দেবেন না, তাঁকে যুদ্ধে পরাজিত করে তবেই তা সম্ভব। চন্দ্রগুপ্ত মন্ত্রীকে যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতির কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন যে, এখনই তা সম্ভব নয়, কারণ নন্দরাজ্যের বাকি অংশ দখলের পরই তা সম্ভব। ঘরের দরজায় শক্র রেখে বাইরে অভিযান বুদ্ধিমানের কাজ নয়। সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের হৃদয়ে বিরহের সৃষ্টি হয়। তিনি তা অতিক্রম করে যুদ্ধে। প্রথমে নন্দরাজ এবং পরে সেলুকাসকে পরাজিত করেন। পরাজয়ের পর সেলুকাসের সঙ্গে চন্দ্রগুপ্তের একটি সন্ধিচুক্তি হয়। তাতে কর্নেলিয়ার সঙ্গে চন্দ্রগুপ্তের বিয়ে, চন্দ্রগুপ্তের সেলুকাসকে পাঁচ শ’ যুদ্ধহস্তি প্রদান এবং দখলকৃত ভারতীয় এলাকাসমূহ মৌর্যদের হাতে তুলে দেওয়ার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। সেলুকাস নিরুপায় হয়ে শর্ত মেনে নেন। ধ্রুপদী এই উপন্যাসে ইতিহাসের সংশ্লেষ এটুকুই। এতে আছে বহু ঘটনা, নানা গল্প আর চমৎকার একটি কাহিনি। আছে বেশকটি বৃহৎ চরিত্রের উপস্থাপনা। চন্দ্রগুপ্ত, সেলুকাস, হেলেন, মেগাস্থিনিস, চাণক্য এবং আচার্য ভদ্রবাহু। রাজনীতি, প্রেম, কূটনীতি, কূটকৌশল ও আধ্যাত্মিক শক্তির এমনসব বাস্তব এবং মানবীয় চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করেন, যা সর্বকালের রাষ্ট্র এবং সমাজের মধ্যেই বিদ্যমান। প্রায় দুই হাজার তিন শ' বছর আগের কাহিনি নিয়ে লেখা উপন্যাসে সে সময় এবং লেখকের বর্তমান কালের দৃষ্টিভঙ্গির মেলবন্ধন কীভাবে প্রতিফলিত তাও দেখবার বিষয়। সমৃদ্ধ প্রাচীন ভারত এবং প্রাচীন গ্রিসকে একসঙ্গে পাওয়া যাবে এ উপন্যাসে।
Title | : | মৌর্য |
Author | : | আবুল কাসেম |
Publisher | : | অন্যপ্রকাশ |
ISBN | : | 9789845024907 |
Edition | : | 2020 |
Number of Pages | : | 535 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |