সারা গা বেয়ে টপ্ টপ্ করে পানি ঝরছে মেয়েটার। হাঁটু পর্যন্ত শাড়ি ওঠানো। পায়ে বড় বড় বালার মত মল……. পৌরাণিক দেবীর মত অবাক্ষ একটা নীরেট মুখ……. ফিসফিস করে তীব্র একটা ঝংকার তুলে কথা বলে উঠল মেয়েটা, অথচ একটা মুখ দিয়ে যেন সমস্বরে অনেকগুলো কণ্ঠ উঠে এলো-
“আমারে ডাকিছো বিষাদে-বিবাদে
দো-পারের তরে লাগি,
এইক্ষণ আর ত্রিভুবন যেন
সভয়ে লুকায়ে রাখি।
তোমার আঙ্গিনা ঘুরিছি ফিরিছি
মাটির ওপরে দাঁড়ায়ে,
আমি জন্ম, আমি মৃত্যু- আমি
ডাকিতেছি হাত বাড়ায়ে।
তুমি ভয় আর অতি জিজ্ঞাসে খুঁজো
আমার অর্থ কী?
আমি তোমার অতীতে সুদূর লুকানো
তোমারই রজনী।
আমি অমিয়েত্রা……”
বাহাদুর শাহ্ কথা বলতে পারছেন না। চোখের ওপর ভারি একটা কালো পর্দা নেমে আসছে তাঁর খুব দ্রুত। প্রবল বৃষ্টির মাঝে কাঁপতে থাকা কালো পর্দাটার মাঝ দিয়ে আবছা দেখতে পেলেন এখনো মূর্তির মত মেয়েটা তাঁর দিকে ঝুঁকে তাকিয়ে রয়েছে। স্পন্দনহীন……. রহস্যময়……