নামহীন এক যুবকের গল্প পিনবল, ১৯৭৩। পড়াশোনা শেষ করে টোকিওতে এক বন্ধুর সঙ্গে পার্টনারশিপে একটা অফিস দেয় সে। তারা মূলত জাপানি ভাষায় অনুবাদের কাজ করে। সেগুলোর মধ্যে উইলিয়াম স্টাইরনের খটমট প্রবন্ধ যেমন আছে, তেমন আছে সেফটি রেজরের ম্যানুয়াল। সে পিনবলে গভীরভাবে আসক্ত। স্পেসশিপ মডেলের পিনবল মেশিনের প্রতি তার এই অবসেশনকে প্রেমও বলা যেতে পারে। নামহীন দুই যমজ বোনের সঙ্গে সে একই বাসায় থাকে।
তার সবচেয়ে কাছের বন্ধুর নাম র্যাট। র্যাট টোকিওতে থাকে না। জাপানের একটা ছোট বন্দর শহরে তার বাস। ‘জে নামে এক চিনা বড় ভাইয়ের বারে বসে বিয়ার খাওয়া ছাড়া সে আর কোনো কিছুতে উৎসাহ বোধ করে না। একটা মেয়েকে পাগলের মতো ভালোবাসে। অথচ মেয়েটকে এড়িয়ে চলে, পালাতে চায় সবসময়। কোনো অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে র্যাটের যুদ্ধ।
গল্পের শুরু ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। উপন্যাসের ঢোকার দরজা এটা। আশা করছি, বের হবার কোনো দরজাও নিশ্চয় পাঠক পেয়ে যাবেন।
যমজ দুই বোনের চেহারা থেকে শুরু করে কণ্ঠস্বর, চুল সব একরকম। শরীরে এমন কোনো তিল বা জন্মদাগ নেই যা দিয়ে তাদের আলাদা করা যেতে পারে।
একটা উপায় একদিন পাওয়া গেল। তারা বাড়িতে নেভি ব্লু কালারের সোয়েটশার্ট পরত। সেখানে দুটো সংখ্যা লেখা ছিল। ২০৮ আর ২০৯। ডান পাশের নিপলের ওপরে ‘২’ লেখা। বাম নিপলের ওপরে ‘৮’ অথবা ‘৯’। দুই স্তনের ভাঁজে ‘০’ চাপা পড়ে যেত।
দুজনের দিকে আঙুল তুলে বললাম, এখন থেকে তোমাকে ২০৮ বলে ডাকব আর তোমাকে ডাকব ২০৯।
কিন্তু এভাবে তো তুমি আমাদের চিনতে পারবে না, ২০৮ বলল।
কেন?
দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে হাসল। ম্যাজিকের মতো সোয়েট শার্টদুটো বদলে নিল। তারপর ২০৯ আমার দিকে তাকিয়ে বলল, এখন আমি ২০৮।
আর আমি ২০৯, অন্যজন সুর মেলাল।
আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম।
Title | : | পিনবল, ১৯৭৩ |
Author | : | হারুকি মুরাকামি |
Translator | : | আলভী আহমেদ |
Publisher | : | বাতিঘর |
ISBN | : | 9789849533672 |
Edition | : | 1st Edition, 2021 |
Number of Pages | : | 160 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |